শনিবার, ২৩ জুন, ২০১২

কেন যুক্তরাস্টের সেনাবাহিনী মুসলিমদের বিরুদে 'সর্বাত্মক লড়াই চালানোর কোস পরিচালনা করছে?

(((((((((((((এটি সংগ্রহিত))))))))))))যুক্তরাষ্ট্রের এক সামরিক প্রশিক্ষণ কলেজে মুসলিমদের বিরুদ্ধে ‘সর্বাত্মক লড়াই’ চালানোর যে কোর্স পড়ানো হচ্ছিল, দেশটির সামরিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আজ তার নিন্দা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি বলেন, এ কোর্সটি খুবই আপত্তিকর এবং তা মার্কিন মূল্যবোধের পরিপন্থী।

এই খবরটি সর্ব প্রথম এই ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয় - http://www.wired.com/dangerroom/2012/05/total-war-islam/ এবং তার পর ব্যাপক ভাবে এই কোর্সের নিন্দা জানানো শুরু হয়। পেন্টাগন এই ওয়েবসাইটের সকল তথ্য সত্য বলে স্বীকার করেছে।

ভার্জিনিয়ার জয়েন্ট ফোর্সেস স্টাফ কলেজে এই বিতর্কিত কোর্সটি পড়ানো হতো। এতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধের পাশাপাশি ইসলামের পবিত্রতম নগরী মক্কার ওপর সম্ভাব্য পরমাণু বোমা হামলার কথাও ছিল। 

জেনারেল মার্টিন ডেম্পসি বলেন, ‘এই কোর্সটি খুবই আপত্তিকর। এটি আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী এবং একাডেমিক দিক থেকেও এটি যথার্থ ছিল না।’ গত এপ্রিলে ভার্জিনিয়ার জয়েন্ট ফোর্সেস স্টাফ কলেজের এক প্রশিক্ষণার্থী এই কোর্সটির ব্যাপারে প্রথম আপত্তি তোলে। এরপর কোর্সটি বাতিল করা হয়।

জেনারেল ডেম্পসি জানান, এর পরপরই তিনি এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেন। কোর্সটির দায়িত্বে থাকা সামরিক অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল ম্যাথিউ ডোলিকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তিনি তার চাকরিতে বহাল রয়েছেন।

এই বিতর্কিত কোর্সের কিছু পাঠ্যসামগ্রী কেউ একটি ওয়েবসাইটে পোস্ট করার পর এটি গণমাধ্যমের নজরে আসে। লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডোলি তার কোর্সের একটি প্রবন্ধে লিখেছেন, ‘এখন আমরা বুঝতে পারছি, মধ্যপন্থী ইসলাম বলে কিছু নেই। কাজেই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সময় এসেছে তার আসল উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে জানানোর। এই বর্বর আদর্শকে আর সহ্য করা হবে না। হয় ইসলামকে নিজে থেকে বদলাতে হবে, নয়তো ইসলাম যাতে নিজে থেকই ধ্বংস হয়, আমরা তার ব্যবস্থা করব।"


এতে তিনি আরও বলেছিলেন, সশস্ত্র সংঘাতের সময় বেসামরিক লোকজনকে সুরক্ষা দেয়ার যে কথা জেনেভা কনভেনশনে আছে, তা এখন আর প্রযোজ্য নয়। এরপর তিনি বলেছেন, জার্মানির ড্রেসডেন, জাপানের টোকিও, হিরোশিমা বা নাগাসাকিতে যা করতে হয়েছিল, ইসলামের পবিত্রতম নগরী মক্কা বা মদিনা ধ্বংসের জন্য সে পথই বেছে নিতে হবে।


এ ঘটনা নিয়ে হৈচৈ শুরু হওয়ার পর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডোলি অবশ্য এ পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেননি। পেন্টাগন আশা করছে, এ মাসের শেষ নাগাদ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

সূত্র ঃhttp://www.bbc.co.uk/news/world-us-canada-18030105

কোন মন্তব্য নেই: